এদিকে, কেউ কেউ পাঁয়ে হেটে দূর গিয়ে আবার অনেকেই নৌকা যোগে দল বেঁধে পানি আনতে গিয়ে বিড়ম্ভনার শিকার হচ্ছেন।
অপরদিকে, হাওরের পানি ব্যবহার করায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এই এলাকার বাসিন্দারা।
সরেজমিনে বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বন্যার পানিতে ডুবে বিকল হয়ে গেছে নলকূপগুলো।এখন পর্যন্ত সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংস্কার করতে টাকা লাগে। চাঁদার অংশ কেউ দেয় কেউ দেয় না। তাই পরিত্যক্ত পড়ে আছে নলকূপগুলো।
তারা জানান, সরকারিভাবে উদ্যোগ না নিলে সংস্কার যেমন হবে না, তেমনি বিশুদ্ধ পানির সংকটও দূর হবে না।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর, খলাচানপুর এবং সদর উপজেলার গৌরারং, আহমদাবাদ, নিয়ামতপুর, মনমতেরচর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের নারীরা দল বেঁধে লাইন ধরে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করছেন।
হরেন্দ্র কুমার বর্মণ বলেন, কলের পানি আনতে নৌকা লাগে। পাড়ার বেশ কয়কজন নারী একত্র হয়ে দল বেঁধে গিয়ে অন্য পাড়া থেকে কলের পানি আনেন। এ গ্রামের ৬০০ লোকের জন্য মাত্র দুটি টিউবওয়েল রয়েছে।
জেলা জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৩ হাজার টিউবওয়েল তিন দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তিন হাজার ও বেসরকারি দশ হাজার।
হাওর বেষ্টিত সদর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা, দিরাই ও শাল্লা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, বন্যায় সরকারি বেসরকারি ১৩ হাজার টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো সংস্কারের কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ হলে বিশুদ্ধ পানির সংকট কিছুটা হলেও দূর হবে।